গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় শিশুসহ ২০ ফিলিস্তিনি নিহত
নিউজ ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় শিশুসহ ২০ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।অবরুদ্ধ এই উপত্যকাতে বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের বিমান ও ড্রোন হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণে বৃহস্পতিবার শিশুসহ অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে একটি বেসামরিক যানবাহনকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর পর চারজনের লাশ গাজার ইউরোপীয় হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে একটি মেডিকেল সূত্র আনাদোলুকে জানিয়েছে।
এর আগে আল-আওদা হাসপাতালের আরেকটি মেডিকেল সূত্র আনাদোলুকে জানায়, গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টকে লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলার পরে সেখানে চার শিশুসহ ৭ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বোমাবর্ষণ করলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলুকে জানিয়েছেন।
পৃথক ঘটনায় গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহামুদ বাসাল টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্বে জেইতুন এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালালে দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্য অনেকে আহত হন।
বাসাল আরও উল্লেখ করেছেন, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বে ওয়াদি সাবের এলাকায় বাস্তুচ্যুত লোকদের একটি তাঁবুকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা হলে পাঁচ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বেইট লাহিয়া প্রকল্প এলাকার একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। এর ফলে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আনাদোলুকে একটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-আমল পাড়ার একটি পার্কে বাস্তুচ্যুত লোকদের ওপর ইসরায়েলি ড্রোন হামলা চালালে দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্য বেশ কয়েকজন আহত হন।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, লাগাতার এই হামলার ফলে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯৪ হাজার মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
- শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়নে ৪ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক
- ইসরায়েলি হামলায় গাজার সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক পরিবারসহ নিহত
- ১০২তম জন্মদিনে স্কাইডাইভ, ৭ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপ
- আরব সাগরে নিম্নচাপ : ইতিহাসে ভয়াবহ ঝড়ের শঙ্কা
- গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ৮৯ জন
- ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ, এবার কি পতন ঘটবে নেতানিয়াহুর?
- ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরো ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, নিহত বেড়ে ৪০৭৮৬
- নরওয়েতে ‘রুশ গুপ্তচর’ তিমির রহস্যজনক মৃত্যু
- গাজায় ৫০ হাজারেরও বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে