১৮ দিনে ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : ড. এএসএম আমানুল্লাহ
নিউজ ডেস্ক
১৮ দিনে ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : ড. এএসএম আমানুল্লাহ
বাংলাদেশে শুধু ব্যাংক লুট হয়নি; দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও লুট হয়ে গেছে। বর্তমান শিক্ষা মান সম্মতের ধারে কাছেও নেই। বিগত সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি কোটি টাকা অপ্রয়োজন খাতে ব্যয় হয়েছে। উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের ১৮ দিনে কমপক্ষে ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি। যেভাবে শুরু করেছি আগামী ১ বছর ৫০ থেকে ১শ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয় করতে পারব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএসএম আমানুল্লাহ শুক্রবার রাত ৯টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রেসক্লাব সভাপতি রাসেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পাভেল খান চৌধুরীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, গোলাম মোস্তাফা রফিক, মোহাম্মদ শাবান মিয়া, রুহুল হাসান শরীফ, শোয়েব চৌধুরী ও চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ প্রমুখ।
দেশে মানসম্মত শিক্ষা হচ্ছে না মন্তব্য করে ড. আমানুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশের ছাত্ররা যে শিক্ষা নিয়ে বিদেশে গিয়ে ২০ হাজার টাকা বেতন পায়। একই লেখাপড়া করে শ্রীলংকার একজন ছাত্র বেতন পায় লাখ টাকা। এই তামাশা চলছে বিগত ৫২ বছর ধরে। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ১ লাখ শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন। বছরে প্রায় ১ কোটি সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। কীসের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, কী লেখাপড়া হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ জানেন। এর ভেতর দিয়েই আমাকে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের চাপের মধ্য দিয়ে সময় কাটাতে হচ্ছে। শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনা যায় কি-না আমরা চেষ্টা করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সম্মত শিক্ষা যদি শতকরা ২৫ ভাগ ফিরিয়ে আনতে পারি তা হলেও বাংলাদেশের অনেক উপকার হবে। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।
ড. আমানুল্লাহ আক্ষেপ করে বলেন, রাজনৈতিক কারণে বিগত সরকারের আমলে ৯৮৮ জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। আদালতের আদেশের মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হলে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা নির্বাহ সম্ভব। বাকি টাকা সরকার বহন করতে হবে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আড়াই হাজার কলেজের গভর্নিংবডি বাতিল করা হয়েছে। সমাজের উচ্চ থেকে নিম্ন পর্যায়ের মানুষ গভর্নিংবডির সভাপতি হতে চান। এতে কী মধু আছে জানি না। শিক্ষার মান উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি যাতে সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন এজন্য তিনি সবার দোয়া কামনা করেন।
- কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত রোগীদের চিকিৎসায় ঢামেকের পরিকল্পনা
- এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য সংশোধিত জরুরি নির্দেশনা জারি
- ঢাবির নতুন ভিসি হলেন ড. নিয়াজ আহমেদ খান
- গণত্রাণ কর্মসূচি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ সংগ্রহ ৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা
- এসএসসি হবে এক বছরের সিলেবাসে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- মাউশির মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন রেজাউল করীম
- ঢাবির ক্লাস শুরু আগামী ২২ সেপ্টেম্বর
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্য সায়েমা হক বিদিশা
- ঢাবির সহকারী প্রক্টর হলেন ছয়জন
- দায়িত্ব নিলেন নোবিপ্রবির নতুন ভিসি ড. মুহাম্মদ ইসমাইল