ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

অপারেশন ছাড়া কিডনির পাথর দূর হবে যেসব উপায়ে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ২৬ আগস্ট ২০২৪  

অপারেশন ছাড়া কিডনির পাথর দূর হবে যেসব উপায়ে

অপারেশন ছাড়া কিডনির পাথর দূর হবে যেসব উপায়ে

আমাদের মল-নিঃসারক প্রক্রিয়ায় কিডনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমাদের রক্ত থেকে ক্ষতিকর উপাদানদের বের করে দিতে কিডনিরা কাজ করে দিন-রাত হরদম। এবং ক্ষতিকর উপাদান প্রস্রাব আকারে বের করে দেয়। তাই কিডনির খেয়াল রাখা জরুরি।

শরীরে পানির ঘাটতি যেন না হয় সেটা দেখা, মল-মূত্রজনিত কোনো সমস্যার প্রতি নজর রাখা এবং তলপেটে-কোমরে একটানা ব্যথা থাকলে তা নিয়ে সতর্ক থাকা— রোজকার জীবনে কিডনির খেয়াল রাখা বলতে এইটুকুই।

কিন্তু পিপাসা থাকলেও পানি খাওয়ার পরিমাণ অনেক সময়ই ঠিক থাকে না কারো কারো। তার ওপর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, তেল-মশলাযুক্ত খাবার কিডনি স্টোনের অন্যতম কারণ। পাথরের আকার বড় হলে অস্ত্রোপচার ছাড়া গতি নেই। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন পাথর ছোট হলে তা মূত্রের মাধ্যমেই বেরিয়ে যায় শরীর থেকে।

এবার চলুন জেনে নিই অপারেশন ছাড়া কিডনির পাথর দূর হবে যেসব উপায়ে

১. পর্যাপ্ত মাত্রায় পানি খেতে হবে: পানি যত বেশি খাবেন, আকারে ছোট হলে পাথর তত তাড়াতাড়ি মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে। যিনি দিনে ১ গ্লাস পানি খান আর যিনি ২৫ গ্লাস পানি  খান ২ জনের মধ্যে দ্বিতীয় জনের ‘কোয়ান্টাম অফ ইউরিন প্রোডাকশন’ বেশি। ফলে মূত্রের বেগও বেশি। তাতেই ছোট স্টোন (১-২ মিলিমিটার) শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। তবে কোনো রকম ক্রনিক অসুখ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই পানি খাওয়া উচিত।

২. লবণের মাত্রা নিয়ে সতর্ক থাকুন: এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে লবণ খাওয়া কমাতে হবে। অর্থাৎ রোজের খাবারে সোডিয়াম পরিমাপ নিয়ে সতর্ক থাকুন। এক্ষেত্রে বাইরের খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবারে লাগাম টানা অত্যন্ত জরুরি।

৩. ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখুন: প্রোটিন বলতে প্রথমেই মাথায় আসে মাছ, মাংস, ডিমের কথা। তবে চিকিৎসকদের মতে, এক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ওপর ভরসা রাখাই ভালো।

৪. ক্যালশিয়াম জরুরি: শুধু হাড়ের জন্য নয়, কিডনির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হলো ক্যালশিয়াম। শরীরে যদি পর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম থাকে, তাহলে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে ক্যালশিয়াম ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন দুধ, পনিরের ওপর।

৫. অক্সালেটযুক্ত খাবার খেতে হবে: পালং, বিট, বাদামের মতো খাবারে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি। তাই এই খাবারগুলো বেশি করে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি লেবু, কমলালেবু, আঙুর, ব্লু-বেরি বা এই জাতীয় সাইট্রিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল খাওয়া যেতে পারে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়