ঢাকা, বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

অলসতা কাটানোর কয়েকটি উপায়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

অলসতা কাটানোর কয়েকটি উপায়

অলসতা কাটানোর কয়েকটি উপায়

মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতাসহ বিভিন্ন কারণে অলসতা ভর করতে পারে আপনার মধ্যে। অনেক সময় হয়তো আলসেমি কাটিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখার কথা ভাবেন। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে তা আর হয়ে উঠে না। অলসতাকে বলা যায় জীবনের একটি অভিশাপ।

উন্নতির পথে অন্যতম অন্তরায়। এমনকি অলস ব্যক্তি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন, যা তাকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। তাই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য চাই অলসতা ঝেড়ে কর্মচঞ্চল জীবন।অলসতা দূর করার কয়েকটি সহজ উপায়-

১. পর্যাপ্ত ঘুমান। অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এতে আপনার শরীর ও মন সতেজ থাকবে।

২. পানি পান করুন।  আলসেমি কাটানোর একটি দুর্দান্ত উপায় হচ্ছে নিজেকে হাইড্রেট রাখা। ডিহাইড্রেশন থেকে ক্লান্ত বোধ হতে পারে। সুতরাং পানি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তরল পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করুন ও সুস্থ থাকুন।

৩. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা।  

৪. খাদ্যতালিকা পরিচ্ছন্ন রাখুন। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল ও আঁশজাতীয় খাবার খান। পারতপক্ষে তৈলাক্ত ও ভারী খাবার থেকে দূরে থাকুন।  

৫. নিজ বাড়ি ও কর্মক্ষেত্র সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। এতে আপনি প্রচুর কর্মোদ্যম বোধ করবেন।

৬. প্রতিটি দিনের শুরু করুন ইতিবাচক প্রেরণা দিয়ে। নিজেকে নিজে বলুন, আমি পারবোই।  

৭. অনুপ্রেরণামূলক সুর কিংবা গান শুনুন। এটি আপনাকে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে সাহায্য করবে।

৮. আশপাশের একঘেয়ে পরিবেশ একটু বদলে ফেলুন। সবুজ গাছগাছালি, প্রিয় কোনো চিত্রকর্ম কিংবা কোনো শোপিস সাজিয়ে মোহনীয় করে তুলতে পারেন নিজস্ব জায়গা।

৯. ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে মিশতে চেষ্টা করুন সব সময়। এমন মানুষের সঙ্গে মিশুন যিনি আপনাকে সব সময় অনুপ্রেরণা, সাহস ও ভালোবাসা সঞ্চার করবেন।

১০. যেকোনো বিষয় খুব সহজভাবে ভাববেন। মনে রাখবেন, একটি সহজ বিষয় ও সহজ সমাধানই আপনাকে সাফল্যের পথে ধাবিত করে।

১১. কর্মতালিকা প্রণয়ন করুন। কোন কাজটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেটি নির্ণয় করার চেষ্টা করুন। এবার সে অনুযায়ী কাজ করুন।

১২. সহজ কাজটি দিয়ে কাজ করা শুরু করুন। কঠিন ও জটিল বিষয়গুলো সময় নিয়ে ধীরে-সুস্থে করুন।  

১৩. বড় কোনো কাজ বা লক্ষ্য ছোট ছোট কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে নিয়ে কাজ করুন। কাজটি সহজ হয়ে ধরা দেবে আপনার কাছে।

১৪. সময়ের মূল্য দিন। অবসর সময়টাও এমন কোনো কাজ করে কাটান যে কাজটি আপনাকে বেশ অনুপ্রেরণা দেবে। সেটি হতে পারে বই পড়া, লেখালিখি করা কিংবা ছবি আঁকা।

১৫. প্রত্যেকটি কাজের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করুন। এক কাজের সময়ে অন্য কাজ করে কখনো সে সময়টি নষ্ট করবেন না। মনে রাখবেন, প্রত্যেকটি মুহূর্তই মূল্যবান।  

সর্বশেষ
জনপ্রিয়