ঢাকা, রোববার   ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ৩০ ১৪৩১

গ্যাস আমদানির চেষ্টা করছে জ্বালানি বিভাগ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ২৭ আগস্ট ২০২৪  

গ্যাস আমদানির চেষ্টা করছে জ্বালানি বিভাগ

গ্যাস আমদানির চেষ্টা করছে জ্বালানি বিভাগ

গ্যাসের সংকট এড়াতে বিগত সরকার ২০১৮ সালের পর বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে পাইপলাইনে সরবরাহ করে। বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে দুটি চুক্তির মাধ্যমে তা আমদানি করা হয়। যার একটি দীর্ঘমেয়াদি, অন্যটি স্পট মার্কেট থেকে বিদ্যমান বাজারদর অনুযায়ী দ্রুত কিনে আমদানি করা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিগত আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও দ্রুত সরবরাহ বিশেষ আইনে এলএনজি আমদানি করেছে। তবে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা প্রথম দিন অফিস করেই বিশেষ আইনের প্রয়োগ স্থগিত করে দেন। উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয়, যে কোনো ক্রয় বা কাজ হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণ হবে গণশুনানির মাধ্যমে। এই প্রেক্ষাপটে ভিন্ন উপায়ে এলএনজি আমদানির চেষ্টা করছে জ্বালানি বিভাগ।

জ্বালানি বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, শিল্পকারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ যাবতীয় উন্নয়ন বজায় রাখতে বিদেশ থেকে লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে সরবরাহ করা হয়। এ জন্য শুরু থেকেই বিশেষ আইনের ব্যবহার হয়ে আসছে। এখন সেই আইন রহিত করা হয়েছে। তবে আমাদের সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করতে হবে। ফলে বিশেষ আইনের ব্যবহার ছাড়া কীভাবে দ্রুত এলএনজি আমদানি করা যায়, সেইউপায় খোঁজা হচ্ছে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই মাসেও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির বাইরে ৬টি কার্গো এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। জুলাই মাসে প্রতিদিন ৫৬৬ এমএমসিএফডি হারে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। যদিও প্রতিদিন এক হাজার এমএমসিএফডি এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বেসরকারি কোম্পানি সামিট পাওয়ারের মালিকানাধীন একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেটি তিন মাসেও চালু করা যায়নি।

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি কয়েক দফা সময় নির্ধারণ করেও পুনঃস্থাপন না হওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে। কারণ তাদের পুনঃস্থাপনের ওপর নির্ভর করে জ্বালানি বিভাগ এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা প্রণয়ন ও

কেনার অর্ডার করবে। জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সামিটের এলএনজি পুনঃস্থাপন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ক্রয় প্রক্রিয়া শেষ করে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করতে সময় লাগতে পারে অন্তত ২০ সেপ্টেম্বর। ফলে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল পুনঃস্থাপন হলেও কাজে লাগবে না। উল্টো ১০ দিনের জন্য সামিটকে জরিমানা দিতে হতে পারে সরকারের।

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়