ঢাকা, বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

দেশ বাঁচাতে হলে পোশাক শিল্পকে বাঁচাতে হবে : মৎস্য উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

দেশ বাঁচাতে হলে পোশাক শিল্পকে বাঁচাতে হবে : মৎস্য উপদেষ্টা

দেশ বাঁচাতে হলে পোশাক শিল্পকে বাঁচাতে হবে : মৎস্য উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়স মাত্র এক মাস। আমাদের একটু সময় দিন। আমরা আমাদের দিক থেকে যা যা করার দরকার সবই করবো।কিন্তু এই দেশকে বাঁচাতে হবে। আর দেশকে বাঁচাতে হলে পোশাক শিল্পকে বাঁচাতে হবে।শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নুরুল কাদির অডিটোরিয়ামে ‘আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, মালিক শব্দটা আমার কানে খুব বাজছে। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ-এখানে মালিক আসে কোত্থেকে। যখন মালিক শ্রমিক শব্দটা ব্যবহার করা হয়, যেন শ্রমিকের মালিক তারা। শ্রমিকের শ্রমের মালিক শ্রমিক। সেটা তাদের একেবারে সার্বভৌম অধিকার। আপানারা যে ইনভেস্ট করেছেন, যা করেছেন, যে ব্যবস্থা করেছেন, তার ব্যাপারে আপনাদের দায়িত্ব। এটা শ্রমনির্ভর একটা ইন্ডাস্ট্রি এক্সক্লুসিভলি। ইন্টারন্যাশনালি সেটা পরিচিত। বিশেষ করে এই কারণে যে, এটা নারীশ্রমিক নির্ভর। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম হয়ে গেছে। বাংলাদেশকে অন্য কারণে না চিনলেও ওরা (বিদেশিরা) তাদের টি-শার্টের পেছনে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখাটাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। আমরা এই জায়গাটা করতে পেরেছি। এর জন্য আমি আপনাদের- বিজিএমইএ এবং শ্রমিকদের সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ ফরেন এক্সচেঞ্জ আর্নিংয়ে এই ভূমিকাটা আপনারা যৌথভাবে রেখেছেন। সেটা কেউ নিতে পারবে না।

তিনি বলেন, কেন এখানে পরস্পরবিরোধী অবস্থান থাকবে, কেন ম্যানুফ্যাকচারারা বলবে যে কারখানা বন্ধ করে দেবো। শ্রমিকরা কেন এসে দেখবে কারখানা বন্ধ। আবার শ্রমিকরাও ভাঙচুর করবে, নিশ্চয়ই আপনারা এটা চান না।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা বলেন, আমি একটু আগে জানতে পেরেছি বড় বড় কারখানার শ্রমিকরা নাকি নেমে (আন্দোলনে) পড়েছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা হওয়া উচিত না। আমার মনে হয় এটা খুব জরুরি, আমাদের পরস্পরের প্রতি দায়িত্বটা নিতে হবে। এই সেক্টরকে রক্ষা করা আমাদের দেশপ্রেমেরই অংশ হওয়া উচিত। আমরা যদি নিজের দেশকেও ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি, তাহলে আমাদের এই সেক্টরকে রক্ষা করতেই হবে। এর কোনও বিকল্প নাই।

ফরিদা আখতার আরও বলেন, এটা কিন্তু একটা ইন্টারন্যাশনাল ইস্যু। যেমন আগামীতে জিএসপি এবং অন্যান্য বিষয় যখন আসবে তখন বাংলাদেশের শ্রমিকদের ওপর মারপিট চলছে, শ্রমিকদের মারা হচ্ছে বা শ্রমিকরা অসন্তোষ হচ্ছে এই বিষয়গুলো হেডলাইন হয়ে যায়। আমরা কী কেউ চাই এই কারখানা বা অর্ডারগুলো অন্য দেশে চলে যাক? অন্য দেশগুলো তো নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কাজেই কোনও অবস্থাতেই আমরা যেন এটা হতে না দেই। আমাদের শ্রমিকদের যে শক্তি আছে, সেই শক্তিটাকে ব্যবহার করি।

উপস্থিত উদ্যোক্তা ও শ্রমিকপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা পক্ষ-বিপক্ষ হবেন না। আমাদের সবার স্বার্থ একটাই-দেশকে রক্ষা করা, দেশের মানুষকে রক্ষা করা, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচানো। এই অর্থনীতি না বাঁচলে আমরা কিছুই করতে পারবো না। দয়া করে আসুন সবাই মিলে কাজ করি।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তা ও শ্রমিক নেতারা।

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়