ঢাকা, বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

নেত্রকোণা সদর উপজেলার ঘোড়াদিঘি বিল যেন পদ্মফুলের সাম্রাজ্য

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

নেত্রকোণা সদর উপজেলার ঘোড়াদিঘি বিল যেন পদ্মফুলের সাম্রাজ্য

নেত্রকোণা সদর উপজেলার ঘোড়াদিঘি বিল যেন পদ্মফুলের সাম্রাজ্য

নেত্রকোণা সদর উপজেলার ঘোড়াদিঘি বিল যেন পদ্মফুলের সাম্রাজ্য। জলের ওপর ভাসছে পদ্মফুল। ‘জলের রানি’ খ্যাত পদ্মফুলের পাপড়িগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে। প্রতিদিন এই পদ্মফুলের মহাসমারোহ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে ভ্রমণপিপাসু প্রকৃতিপ্রেমীরা।নেত্রকোণার সদর উপজেলার কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের নাড়িয়াপাড়া গ্রামের ঘোড়াদিঘি বিলটি এখন পদ্মবিল নামে পরিচিতি পেয়েছে। সদর উপজেলার নায়রাপাড়া, রাজাপুর ও গাবরাগাতি গ্রামের প্রায় ৫০ একর এলাকাজুড়ে ঘোড়াদিঘি বিলে এখন ফুটেছে অসংখ্য পদ্মফুল।

প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৌন্দর্যপিপাসুরা ছুটছে এই পদ্মবিলে। ফুলের ছড়ানো সৌন্দর্যের টানে মনের আনন্দে ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় বিলে ঘোরাঘুরি করে দর্শনার্থীরা।দর্শনার্থীদের মধ্যে শিশু-কিশোর ও যুবকদের সংখ্যাই বেশি।স্থানীয়রা জানান, পদ্মবিল সবার জন্য অবারিত। প্রতিদিন বিলের পদ্ম দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করে। সাধারণত শুক্র, শনিবারসহ ছুটির দিনগুলোতে পর্যটক বেশি থাকে।

রাজাপুর গ্রামের কৃষক আবু সিদ্দিক বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই দেখছি বর্ষাকালে এ বিলের বেশির ভাগ জমিতেই প্রাকৃতিকভাবে পদ্মফুল জন্মে। এ কারণে বিলটি এখন পদ্মবিল নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে।’

বিলে ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী মোনায়েম হোসেন বলেন, ‘প্রকৃতির কাছে গেলে মন ভালো থাকে। তাই এই বিলে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছি।’বিলে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন স্থানীয় অনেকে।

এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। চার বছর ধরে এই বিলে নৌকা চালিয়ে আয়-রোজগার করেন নৌকার মাঝি কাজিম উদ্দিন। তিনি জানান, প্রতিবছর বর্ষা শুরুর পর তিন মাস পর্যটক আসে এই বিলে। ভালোই আয় হয়। তবে টাকার জন্য কোনো জোরাজুরি করা হয় না। সামর্থ্য অনুযায়ী পর্যটকরা যা দেয় তাতেই তাঁরা খুশি বলে জানান।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়