ঢাকা, রোববার   ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ৩০ ১৪৩১

বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় খুশি রাজশাহীর পাট চাষিরা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় খুশি রাজশাহীর পাট চাষিরা

বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় খুশি রাজশাহীর পাট চাষিরা

বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় এবার খুশি রাজশাহী অঞ্চলের পাট চাষিরা। ইতোমধ্যে রাজশাহীর হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পাট। গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি হওয়ায় খুশি চাষিরা। বাজারে মানভেদে এখন প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায়।

শুরুতেই দাম ভালো পাওয়ায় মাঠে মাঠে পাট কাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষি ও শ্রমিকরা। জেলার উপজেলাগুলোর বিভিন্ন হাট-বাজারে চলছে নতুন পাট কেনাবেচার ধুম। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাজশাহীতে পাট চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে। আর গত বছর চাষ হয়েছিল ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। সেই হিসেবে পাটের চাষ কমেছে ২ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমির।

তবে এবার পাট চাষে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় উৎপাদন ভালো হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরও পাটের ভালো দাম পেয়েছেন চাষিরা। এই দাম মৌসুমের শেষের দিকে আরও বেশি ছিল। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ পাটের দাম গড়ে ২০০ টাকা বেশি। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ধারণা এবার শেষ পর্যন্ত আশানুরূপ পাটের দাম পাবেন তারা।

জেলার বাঘার দিঘাহাটে পাট বিক্রি করতে আশা মকুল হোসেন বলেন, পাটের বীজ বপনের সময়ে বৃষ্টিপাত ছিল না। ফলে অনেকের পাটের বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া অনেকেই পানির অভাবে পাটের বীজ বপন করেননি। দুই সপ্তাহ আগেও পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। কিন্তু বৃষ্টিপাতের ফলে খালবিলে পানি জমায় সেই চিন্তা কেটে গেছে।

বাউসা আমরপুর গ্রামের পাট চাষি আমিরুল ইসলাম বলেন, জমিতে পানি থাকায় পাট কাটা শ্রমিকদের বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে। বর্তমান বাজারে মানভেদে প্রতি মণ পাটের দাম ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা। একই এলাকার মকসেদ আলী জানান, গত শুক্রবার দিঘাহাটে ভ্যানে করে ৬ মণ পাট ১২ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। তবে তার মধ্যে ভ্যান খরচ ও খাজনা দিতে হয়েছে।হাট-বাজারে পাটের চাহিদা ভালো আছে। বিক্রি করতে কোনো সমস্যা নেই। রাজশাহীর পাট ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, নওগাঁয় প্রতি মণ পাটের দাম আমাদের চেয়ে ৫০০-৬০০ টাকা বেশি। কিন্তু এই এলাকার পাটের মান ভালো না হওয়ার কারণে দাম তুলনামূলক কম পাচ্ছেন চাষিরা। রাজশাহী কৃষি অফিস জানায়, পাটের জমিতে কিছু পানি থাকলেও আঁশের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে অপরিপক্ব পাট কাটলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। কৃষি অফিস জানায়, এবার পাটের চাষ কম হলেও আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। তাই উৎপাদন ভালো হয়েছে। শুরুতেই বাজারে দামও ভালো মিলছে।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়