ঢাকা, রোববার   ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ৩০ ১৪৩১

বিপদে ধৈর্য ধারণ করা সম্পর্কে যা বলে ইসলাম

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৫, ৩১ আগস্ট ২০২৪  

বিপদে ধৈর্য ধারণ করা সম্পর্কে যা বলে ইসলাম

বিপদে ধৈর্য ধারণ করা সম্পর্কে যা বলে ইসলাম

বিপদ মানুষকে আল্লাহর দিকে ধাবিত করে। বান্দার ওপর যখন বিপদ আসে তখন সে আল্লাহর কাছে ফিরে আসে। তাই আল্লাহ বান্দাকে ছোট-বড় বিপদ দিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যারা তাদের ওপর বিপদ এলে বলে, আমরা তো আল্লাহরই। আর নিশ্চয়ই আমরা তার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।’

আলেম, দা‘ঈ ও ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধকারীদের যাকে আল্লাহ ধৈর্যের, সাওয়াবের আশার ও আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠতার তাওফীক দিয়েছেন, সে সফল হয়েছে, তাওফীক প্রাপ্ত হয়েছে, হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং আল্লাহ তার দ্বারা উপকার প্রদান করেছেন, যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেন:

وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مَخۡرَجٗا ٢ وَيَرۡزُقۡهُ مِنۡ حَيۡثُ لَا يَحۡتَسِبُۚ﴾ [الطلاق: ٢، ٣]

“এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার জন্য (বিপদ ও পরীক্ষা থেকে) বের হওয়ার রাস্তা সৃষ্টি করে দিবেন এবং তাকে রুজি প্রদান করবেন তার ধারণাতীত উৎস থেকে।” [সূরা আত-ত্বালাক, আয়াত: ২-৩]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন:

وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مِنۡ أَمۡرِهِۦ يُسۡرٗا ٤﴾ [الطلاق: ٤]

“আর যে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার জন্য তার সকল কর্মকে সহজ করে দিবেন।” [সূরা ত্বালাক, আয়াত: ৪]

মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:

أَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِن تَنصُرُواْ ٱللَّهَ يَنصُرۡكُمۡ وَيُثَبِّتۡ أَقۡدَامَكُمۡ ٧﴾ [محمد: ٧]

“হে ইমানদারগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর তবে তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পাসমূহ (অবস্থান) সুদৃঢ় করবেন।” [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৭]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন:

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ١ وَٱلۡعَصۡرِ ١ إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لَفِي خُسۡرٍ ٢ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلۡحَقِّ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلصَّبۡرِ ٣﴾ [العصر: ١، 4]

“পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি”। সময়ের শপথ, নিশ্চয় সকল মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্মসমূহ সম্পাদন করেছে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে ও পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিয়েছে তারা নয়। [সূরা আল-আসর, আয়াত: ১-৩]

অতঃপর দুনিয়া ও আখিরাত সফল লাভবান হলো মুমিনগণ, সৎকর্ম সম্পাদনকারীগণ, পরস্পর সত্যের উপদেশ দানকারী ও পরস্পর ধৈর্যের উপদেশ দানকারীগণ।

আর এটা জানা বিষয় যে, নিশ্চয় ন্যায়ের আদেশ, অন্যায়ের নিষেধ, পরস্পর সত্যের প্রতি আহ্বান করা ও পরস্পর ধৈর্যের উপদেশ দেওয়া তাকওয়ার অন্তর্ভুক্ত, তারপরও আল্লাহ সুবহানাহু এর কথা বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন এ বিষয়টি আরো পরিষ্কার ও এর দিকে (মানুষকে) উৎসাহ প্রদান করার জন্যে। উদ্দেশ্য হলো: নিশ্চয় যে ব্যক্তি ন্যায়ের আদেশ করবে, অন্যায়ের নিষেধ করবে সে ব্যক্তি এ মহা গুণগুলোর অধিকারী, পুণ্যলাভ ও চিরসুখ অর্জন করে উত্তীর্ণ হবে যখন তার এর ওপর মৃত্যু হবে। নিম্নে বর্ণিত আল্লাহর বাণী এ মহাগুণে গুণান্বিত হওয়ার আবশ্যিকতাকে আরো শক্তিশালী করে।

وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ ٢ ﴾ [المائ‍دة: ٢]

“সৎকর্ম ও আল্লাহ ভীতির কাজে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে একে অপরকে সাহায্য করো না। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।” [সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ২]

সর্বশেষ
জনপ্রিয়