ঢাকা, রোববার   ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ৩০ ১৪৩১

যে দোয়াটি নবিজি (সা.) সবচেয়ে বেশি করতেন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ৩১ আগস্ট ২০২৪  

যে দোয়াটি নবিজি (সা.) সবচেয়ে বেশি করতেন

যে দোয়াটি নবিজি (সা.) সবচেয়ে বেশি করতেন

আনাস (রা.) বলেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সবচেয়ে বেশি এ দোয়াটি করতেন,اللَّهُمَّ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
হে আমাদের রব, আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দিন, আখেরাতেও কল্যাণ দিন এবং আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন। (সুরা বাকারা: ২০১) (সহিহ বুখারি: ৬৩৮৯)

সহিহ মুসলিমে আরও বর্ণিত হয়েছে, আনাস (রা.) নিজেও যখন কোনো একটি দোয়া করার ইচ্ছা করতেন, তখন এ দোয়াটি করতেন। আর যখন বিভিন্ন দোয়া করার ইচ্ছা করতেন, তখন সেগুলোর মধ্যে এ দোয়াও থাকতো। (সহিহ মুসলিম: ২৬৮৮)

এ দোয়াটিকে নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বেশি গুরুত্ব দেওয়া বা পছন্দ করার কারণ হলো, এ দোয়াটিতে একইসাথে দুনিয়ার কল্যাণ, আখেরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়েছে এবং জাহান্নাম থেকেও মুক্তি প্রার্থনা করা হয়েছে। আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ‘জাওয়ামে’ অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ বা সব মুসলমানদের কল্যাণ প্রার্থনা অন্তর্ভুক্ত থাকে এমন দোয়া পছন্দ করতেন এবং এ রকম দোয়া ছাড়া অন্যান্য দোয়া পরিহার করতেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১৪৮২)

একজন মুসলমানের যেমন দুনিয়াদার হওয়ার সুযোগ নেই, শুধু দুনিয়ার জীবন-সর্বস্ব চিন্তা ভাবনা, কাজকর্ম করার সুযোগ নেই, দুনিয়াবিরাগী হওয়ার শিক্ষাও ইসলাম দেয় না। ইসলাম আখেরাতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলে, পাথেয় সংগ্রহ করতে বলে দুনিয়ায় উত্তমরূপে জীবন যাপনের মাধ্যমে, দুনিয়া ত্যাগ করে বা দুনিয়ার জীবনে, সংসারে অমনোযোগী হওয়ার মাধ্যমে নয়। দুনিয়ার জীবনে দায়িত্বশীলতা, স্ত্রী-সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা, তাদের ভরণ-পোষণের ব্যয় নির্বাহের জন্য মানুষ যে পরিশ্রম করে, উপার্জন করে আল্লাহর কাছে তাও নেক কাজ হিসেবেই গণ্য হয়।

তাই দোয়া করার সময়ও আখেরাতের কল্যাণের পাশাপাশি দুনিয়ার কল্যাণও প্রার্থনা করা উচিত। এটাই সুন্নত ও নবিজির (সা.) শিক্ষা। আল্লাহর কাছে আখেরাতের বদলে দুনিয়ার শাস্তি বা দুনিয়ার অকল্যাণ প্রার্থনা করা ইসলামের শিক্ষা নয়।

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একবার খুব অসুস্থ এক ব্যক্তিকে দেখতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করেছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি দোয়া করেছিলাম, আল্লাহ যেন আমাকে আখিরাতে শাস্তি না দিয়ে আমার অপরাধের শাস্তি এই দুনিয়াতেই দিয়ে দেন!আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ওই শাস্তি সহ্য করার ক্ষমতা আপনার নেই। আপনি বরং দোয়া করুন, হে আমাদের রব, আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দিন, আখেরাতেও কল্যাণ দিন এবং আগুনের আজাব থেকে রক্ষা করুন! (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯৪১)

সর্বশেষ
জনপ্রিয়